সংবাদ শিরোনাম:

ভূঞাপুরে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট জনজীবন

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

মাসুদুল হাসান মাসুদ:

শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ভূঞাপুরে পবিত্র রমজান মাসেও চলছে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আবার কখনো কখনো দেখা যাচ্ছে মিস কল আদলের লোডশেডিং। প্রাকৃতিক বৈরিতার খরতাপে এমনিতেই জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। তার সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। এই দুইয়ে মিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলার গ্রামের মানুষের জীবন।
প্রচন্ড তাপদাহ যত তীব্র হয়, বিদ্যুতের লোডশেডিং যেন ততই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। রমজান শুরু হওয়ার পর থেকেই দিনে রাতে দুই ঘণ্টা পর পর চলে লোডশেডিং। সরকারের শতভাগ বিদ্যুতায়নকে কলঙ্কিত করতেই বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা একটু অজুহাতেই ঘণ্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখছেন বলে অভিযোগ করছেন গ্রাহকরা।
মানুষ যখন প্রকৃতি’র বাতাস বিহীন বিদ্যুতের পাখায় স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলতে চায় তখনই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় লোডশেডিং। রাত দিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১০/১২ ঘন্টা চলে লোডশেডিং । এদিকে যখন বিদ্যুৎ থাকেনা তখন ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের অফিসিয়াল ল্যান্ড ফোন ব্যস্ত করে রাখা হয়। আবার রিসিভ করলেও দুর্ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের।
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিদ্যুৎ সংকটের ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ভূঞাপুর উপজেলার ছোট-বড় কলকারখানাসহ বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, অফিসিয়াল কার্যক্রমসহ হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, দিনের বেলা ঘণ্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং থাকলেও রাতে একই পরিস্থিতি বিরাজ করে। এতে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভূঞাপুর বিদ্যুৎ অফিসের এমন কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও এর কোন প্রতিকার হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ভূঞাপুর উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা যেখানে ১৮ মেগাওয়াট রয়েছে সেখানে আমরা পাচ্ছি ৯ মেগাওয়াট। যার ফলে একেক এলাকায় লোডশেডিং দিয়ে ব্যালেন্স করার চেষ্টা করছি।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *