নিজস্ব প্রতিনিধি:
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরুর পর এটিই প্রথম পাবলিক পরীক্ষা।
রেওয়াজ অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এবং এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমে বছরের শেষে এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন বছরের শুরুতে একাদশের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
যদিও নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের শুরুর বছর পাবলিক পরীক্ষার সময় আগে থেকেই নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ঢাকা ও শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা কবে হবে, সেটা নির্ধারণ হয়নি। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হলে তখন আমরা বলতে পারবো। ২০২৬ সালের শুরুর দিকে হতে পারে।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এখন যারা দশম শ্রেণিতে আছে, তারা পুরোনো কারিকুলামে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা দেবে। আর নতুন কারিকুলামের ব্যাচ এখন নবম শ্রেণিতে আছে। আগামী বছর দশম শ্রেণিতে যাবে। দশম শ্রেণিতে সারা বছর ক্লাস চলবে।
তিনি আরও বলেন, আগে টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হতো, এখন সে বিষয় নেই। সে জন্যই এখন যেটা হতে পারে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যাদের পরীক্ষা হওয়ার কথা, নতুন কারিকুলামে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করার দরকার নেই। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে বা ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে চাইলে নিয়ে নেওয়া যায়। এসবের এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর ভিত্তি করে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেখানে লিখিত মূল্যায়নে ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নে ৩৫ শতাংশ রাখা হবে। পরীক্ষার সময়ও বেড়ে হবে পাঁচ ঘণ্টা। আগামী ৩১ মের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে।
এনসিটিবির তথ্যমতে, বর্তমানে নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের আলোকে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে নতুন শিক্ষাক্রমে শুধু দশম শ্রেণির বিষয়ের ওপর এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
দশম শ্রেণিতে ১০টি বিষয়—বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্মশিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ের ওপর মূল্যায়ন করা হবে।