সংবাদ শিরোনাম:

শরীয়তপুরে বজ্রপাতের কারনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

শাহাজাদী সুলতানা:

শরীয়তপুরের জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) দুপুরে বজ্রপাতে তাঁদের মৃত্যু হয়।
মৃত্যদের একজন হলেন-জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের পাইনপাড়া এলাকার আলতু মাঝির মেয়ে আমেনা বেগম (২৬) । অন্য জন হলেন- উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তাৎক্ষণিক নিহতের নাম ও পরিচয় জানাতে পারেনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম লুনা। এ ছাড়া বজ্রপাতে নিহত হন ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি গ্রামের নেছার উদ্দিন মাঝির স্ত্রী কুলসুম বেগম (৩৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টির মধ্যে মায়ের খোঁজ করতে গিয়েছিলেন আমেনা বেগম। ফসলি মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মাকে খুঁজছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান আমেনা বেগম। স্থানীয় জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আমেনা বেগমের। তার দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শরীফুল আলম বলেন, বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা এসে প্রতিবেদন দিলে বিস্তারিত বলা যাবে।
অন্যদিকে জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পের এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় কাজ করছিলেন এক নির্মাণ শ্রমিক। এ সময় বজ্রপাতে আঘাতে তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি নীলফামারী জেলায়।
এছাড়াও জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি গ্রামে সয়াবিন ক্ষেতে কাজ করছিলেন নেছার উদ্দিন মাঝি। দুপুরে তার স্ত্রী কুলসুম বেগম দুপুরের খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন সয়াবিন ক্ষেতে। এ সময় হঠাৎ করেই বৃষ্টিসহ বজ্রপাত শুরু হলে বজ্রপাতের আঘাতে কুলসুম বেগমের মৃত্যু হয়।চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএম আনোয়ার হোসেন বলেন, দুপুরে বজ্রপাতের আঘাতে কুলসুম বেগম নামে এক কৃষাণীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আমি মর্মাহত। এই সময়ে সারাদেশে ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়েছে। সকলের সতর্ক থাকা উচিত।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *