সংবাদ শিরোনাম:

শরীয়তপুরের বিলাসপুরে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হাত বোমায় শওকত নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

শাহাজাদী সুলতানা:

শরীয়তপুরের জাজি রায় একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার প্রতি প্রতিপক্ষের সমর্থনদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছে এদের মধ্যে একজন শওকত নামে আহত হয়েছে।
ঢাকায় ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে অবশেষে মারা গিয়েছে বিলাসপুরের সংঘর্ষের ঘটনায় হাতবোমার আঘাতে গুরুতর আহত শওকত সরদার(১৮)। শনিবার (২৭-এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শওকত সরদার মারা যায় বলে জানিয়েছে তার পরিবার। এর আগে শওকত সরদারকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল ও ফরাজি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
নিহত শওকত মাদবরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, টানা ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শওকতের শারিরীক অবস্থা ভালো-মন্দের মধ্য দিয়েই যায়। তবে গতকাল হঠাৎ শওকতের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হতে থাকে। শনিবার দুপুরের দিকে শওকত সরদার মারা যায়। নিহত শওকত সরদার বিলাসপুরের মুলাই বেপারি কান্দি গ্রামের মৃত কাশেম সরদারের ছেলে। নিহত শওকত সরদার বিলাসপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: কুদ্দুস বেপারির সমর্থক ছিলো।
উল্লেখ্য: প্রায় দুই বছর মোটামুটি শান্ত থাকার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর। যার ফলে গত (২৮-মার্চ) রাত আনুমানিক নয়টার সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বিলাসপুর ইউনিয়নের মিয়াচাঁন মুন্সী কান্দি এলাকার মোহাম্মদ আলী মুন্সির ছেলে সজিব মুন্সি হাতবোমার আঘাতে পেটের নারী-ভুঁড়ি বেরিয়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত সজিব মুন্সি পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল জলিল মাদবরের সমর্থক ছিলো।
ঐ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা চলমান থাকা অবস্থায়ই ফের গত (২৪-এপ্রিল) বুধবার সারাদিন দফায় – দফায় চেয়ারম্যান মো: কুদ্দুস বেপারির সমর্থকদের সাথে পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল জলিল মাদবরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় হাতবোমার আঘাতে শওকত সরদারের মাথায় গুরুতর জখম হলে তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বিলাসপুরের পরিবেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এই ঘটনায় বাকরুদ্ধ, হতভম্ব ও শোকাহত। শওকত সরদার মারা যাওয়ার পর এখনও পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রেখেছি। সুতরাং প্রতিপক্ষের বাড়িতে কোন ধরনের লুটতরাজ বা ভাংচুরের সুযোগ নেই। শওকত সরদারের মৃত্যুতে মামলা করতে বলা হয়েছে। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *