সংবাদ শিরোনাম:

মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মালয়েশিয়ায় এসে চাকরিতে প্রতারণার শিকার হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাংলাদেশিদের। তাদের এই দুর্দশার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন, ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন এবং ইউনাইটেড নেশনস অব ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম। সংস্থাগুলো জানিয়েছে, আটকে পড়া এই শ্রমিকদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে সহায়তা করতে প্রস্তুত তারা। শনিবার (৪ মে) মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে এই খবর জানিয়েছে।
একটি যৌথ বিবৃতিতে সংস্থাগুলো বলেছে, এমন পরিস্থিতিতে ন্যায়বিচার এবং মৌলিক পরিষেবাগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রবেশাধিকার বাড়ানো নিয়ে কাজ করবেন তারা। পাশাপাশি মানবাধিকারের ভিত্তিতে সমস্যাগুলোর টেকসই সমাধান খোঁজার দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টায় তাদের সহযোগিতা করা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই তিন সংস্থা বর্তমান শ্রম অভিবাসন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এবং একটি স্বচ্ছ ও দক্ষ শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়া গড়ে তোলার লক্ষ্যে মালয়েশিয়া সরকারকে সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছে।’
বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। দেশটিতে বাংলাদেশিদের মানবেতর জীবনযাপনের বিষয়ে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিয়োগকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী এজেন্টদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের পাসপোর্ট এবং অন্যান্য নথিপত্র বাজেয়াপ্ত রাখার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি শ্রমিকদের প্রায়ই জনাকীর্ণ হোস্টেল, অ্যাপার্টমেন্ট, এমনকি গুদামঘরে রাখার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া, তাদেরকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রেখে ন্যূনতম খাবার দেওয়া, বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ সীমিত করা এবং নূন্যতম স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের তো বিষয়গুলোও প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে।’
কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পেয়ে মালয়েশিয়ায় এসে প্রতারিত হওয়া বাংলাদেশি অভিবাসীদের সম্পর্কে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে হতাশ হওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল-নিযুক্ত বিশেষজ্ঞরা।
গত অক্টোবরে, জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের মানবাধিকারের জন্য জাতিসংঘের হাইকমিশনার অফিসে বাংলাদেশি শ্রমিকদের দুর্দশার বিষয়ে মালয়েশিয়ার দুর্বল ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেছিলেন অভিবাসী অধিকারকর্মী অ্যান্ডি হল।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *