সংবাদ শিরোনাম:

উপজেলা পর্যায়ে কেশবপুর বাহারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ ফসিয়ার রহমান

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

রবিউস ইসলাম (কেশবপুর প্রতিনিধি):

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে উপজেলা পর্যায়ে কেশবপুর বাহারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গৌরব অর্জন করার পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ ফসিয়ার রহমান এবং শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হয়েছেন কামিল ১ম পর্বের ছাত্রী সানজিদা আক্তার সুমি। উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান, শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হওয়ায় মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, গভর্নিং বডি এবং এলাকাবাসীর মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মনে করছেন, এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে খুব শীঘ্রই জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি আরো বেশি সুনাম অর্জন করবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে কেশবপুর বাহারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার ফলাফল, গভর্নিং বডির দক্ষতা, শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, অবকাঠামোগত সুবিধা, প্রশাসনিক ও আর্থিক শৃঙ্খলা, আইসিটি দক্ষতা, পাঠদানের নিয়মানুবর্তিতা, শিক্ষার পরিবেশ, জাতীয় দিবস সমূহ উদযাপন প্রভৃতি বিবেচনায় উক্ত মাদ্রাসাটিকে উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করার পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানের শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ এবং শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত করা হয়েছে।
শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ায় কেশবপুর বাহারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, কেশবপুর বাহারুল উলুম কামিল মাদ্রাসাটি প্রায় ৮০ বর্ষের একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে মাদ্রাসাটি উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ ঞ্জাপন করছি। আমি আশা করছি, সকলের সহযোগিতা ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় আগামীতেও প্রতিষ্ঠানের সফলতার এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে কেশবপুর বাহারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফসিয়ার রহমান বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তুহিন হোসেন মহোদয় এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রশীদ ও উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজারসহ মনোনয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের প্রতি।
মাদ্রাসাটিকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও আমাকে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত এবং নিজেকে গর্ববোধ করছি। বিগত ৩ বছরের বেশি সময় আমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছি। মাদ্রাসার এই সাফল্যের পিছনে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সদস্যদের দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন, ছাত্র-ছাত্রীদের কঠোর অধ্যায়নে শিক্ষকদের একনিষ্ঠতা এবং সর্বোপরি অভিভাবকদের সচেতনতাই এই সাফল্যের একমাত্র মূলমন্ত্র। তার জন্য মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সকল সদস্য, শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *