নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। আমরা ভয় পায় অগ্নিসন্ত্রাসের। যে আগুন-সন্ত্রাসের সংস্কৃতি তারা (বিনএপি) চালু করেছে, এর বিরুদ্ধে জনগণের জানমাল রক্ষায় আমাদের অবশ্যই শান্তি সমাবেশ করতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘সেটা আমরা আগেও করেছি, ভবিষ্যতেও এ ধরনের হুমকির মোকাবিলা করতে রাজপথে আমরা প্রস্তুত।’
রবিবার (৯ জুন) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথসভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আগামী ২৩ জুন দলের ৭৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের নিয়ে এই যৌথসভার আয়োজন করা হয়।
‘সরকারের দুর্বল নীতির কারণে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড আবারও শুরু হয়েছে’, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় মাঝে-মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। বিএনপি আমলে তো এটা আরও বেশি ছিল। কোনও ঘটনা ঘটলে দুই দেশ একসঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করছে। পুনরাবৃত্তি ঘটলে কার্যকর ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাই এখানে হত্যার উৎসব বিএনপির আবিষ্কৃত শব্দ। তারা নিজেরা যা চর্চা করেছে, এখনও তাই হচ্ছে বলে মনে করছে।’
বাজেট দেওয়া হয়েছে রাঘব-বোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করার জন্য, বলে দাবি করে কাদের বলেন, ‘বাজেট করা হয়েছে রাঘব-বোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করার জন্য, লুটপাট করার জন্য নয়। বিএনপি আমলে যে লুটপাটের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল, দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল, অন্ধকার গহ্বর থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লুটপাট করে কেউ এখানে পার পাবে না।’
কালো টাকা সাদার সুযোগের সমালোচনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কালো টাকা সাদা সাইফুর রহমানও করেছেন (চারদলীয় জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী) এবং খালেদা জিয়াও করেছেন। তারাও তাহলে দৃর্বৃত্ত?’ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আদার দিয়েছি রুই-কাতলা ধরার জন্য।’
সাবেক আইজিপির দুর্নীতির সঙ্গে সরকার দলীয় এমপি ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান জড়িত থাকার সংবাদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কীভাবে জড়িত? পত্রিকায় আসলেই কি হবে? প্রমাণ করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জুবলির কর্মসূচি সফল করার জন্য দলীয় নেতাদের অফিসমুখী হতে নির্দেশনা দেন ওবায়দুল কাদের। কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকলে আলোচনা করে যেকোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় বলে জানান তিনি।
দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানাবে বলে জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তবে বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানানো সম্ভব হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের স্ব স্ব দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল জোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত প্রমুখ।