নিজস্ব প্রতিনিধি:
টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৬০ পয়েন্ট। দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম একদিনে যতটা কমা সম্ভব ততটাই কমেছে।
দিনের সর্বনিম্ন দামে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের বিপুল সংখ্যক বিক্রয় আদেশ রয়েছে। বিপরীতে শূন্য হয়ে পড়েছে ক্রয় আদেশের ঘর। ফলে দিনের সর্বনিম্ন দামে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ ব্যর্থ হচ্ছেন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। এতে এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন ৫ হাজার ২০২ কোটি টাকা কমে যায়। আর প্রধান মূল্যসূচক কমে ১৪৩ পয়েন্ট।
এ পরিস্থিতিতে রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টাজুড়ে এই ধারা অব্যাহত থাকে। এমনকি লেনদেনের সময় যত গড়িয়েছে দরপতনের মাত্রা তত বেড়েছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১টা ৬ মিনিটে ডিএসইতে মাত্র ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯৮টির। আর ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৬১ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৮ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৬৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৪ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ১১৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টির।