সংবাদ শিরোনাম:

রোগীকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসে সড়কে প্রাণ গেলো ৩ জনের

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া এলাকায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাইভেটকার খাদে পড়ে একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
নিহতরা হলেন চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামের হোসেন আলী ব্যাপারীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৫০), তার ছোট ছেলে জহিরুল ইসলাম (২০) ও তার মামি রাহেলা বেগম (৫০)। আহতরা হলেন আলমগীর হোসেনের বড় ছেলে নজরুল ইসলাম (৩০) ও প্রাইভেটকারচালক ইব্রাহিম খলিল সুজন (৩৩)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা কুয়েতপ্রবাসী আলমগীর হোসেন সম্প্রতি দেশে ফিরে শুক্রবার (৩ মে) পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় কাদরা গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বেড়ানো শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় তার মামি রাহেলা বেগমকে ডাক্তার দেখাতে ঢাকাতে নিয়ে আসছিলেন তিনি। রাত দেড়টার দিকে তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে আসলে পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যান প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দিলে দিলে সেটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এ সময় আলমগীর হোসেনসহ ঘটনাস্থলেই তিন জন মারা যান। চালকসহ আহত দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক বলেন, ‘রাত ১টা ৫০ মিনিটের দিকে আমরা দুর্ঘটনার খবর পাই। খবর পাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। হতাহত সবাইকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।’
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাদিয়া আফরিন বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে আমাদের হাসপাতালে ৫ জন রোগী নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে আমরা ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করি। আহত নজরুল ও সুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
দুর্ঘটনার বিষয়ে গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘নিহতদের মরদেহ বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। ঘাতক কাভার্ডভ্যানটিকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *