সংবাদ শিরোনাম:

রাস্তায় বেরিয়ে যৌন হেনস্তার শিকার, অভিযোগ নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীর

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:

নোয়াখালীতে রিকশাচালক কর্তৃক যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীর। ভুক্তভোগী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (২৪ মে) সকাল ১০টায় পৌর বাজারের পেছনে ল’ইয়ার্স কলোনি থেকে মেইন রোডে রিকশায় উঠে আসার সময় প্রভাতী স্কুল এলাকায় রিকশাচালক কর্তৃক ওই শিক্ষার্থী যৌন হেনস্তার শিকার হয় বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর তথ্যমতে, শুক্রবার আনুমানিক সকাল ১০টায় বান্ধবীর বাসা থেকে হলে আসার উদ্দেশে বাসার সামনে থেকে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। সে সময় রিকশা চালককে স্বাভাবিক মনে হলেও প্রভাতী স্কুল থেকে কিছু দূর সামনে আসার পর একটি ব্যাডমিন্টন কোর্টের সামনে রিকশাচালক হঠাৎ করে তার রিকশাটি থামায়। জায়গাটি তখন নিরিবিলি ছিল। এ সময় রিকশাচালক রিকশায় সমস্যা হয়েছে বলে জানায় এবং রিকশা থেকে নেমে তাকে সাহায্য করতে বলে। রিকশাচালক পেছনের চাকার কাছে বসে পা দিয়ে রিকশার সাইডে চাপ দিতে ওই শিক্ষার্থীকে অনুরোধ জানায়।
ভুক্তভোগী রিকশাচালকের দেখানো জায়গায় পা দিয়ে চাপ দিলে রিকশাচালক এতে কাজ হচ্ছে না বলে জানান। পরে তাকে জুতা খুলে চাপ দিতে অনুরোধ করে। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থী জুতা খুলে চাপ দিলে একটু পর রিকশাচালক তার হাত দিয়ে পা ধরে এদিক-ওদিক করতে থাকে এবং বলতে থাকে, আপু একটু কষ্ট করে পা এদিকে নেন ওদিকে নেন। কিন্তু তখনও ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী কিছু বুঝতে পারেননি। পরে ওই শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন রিকশাচালক তার পায়ের মধ্যাঙ্গুলি মুখে ঢোকাচ্ছেন। সঙ্গে সঙ্গে পা সরিয়ে নিয়ে রিকশা থেকে নামতে চাইলে চালক তৎক্ষণাৎ রিকশা চালানো শুরু করে দেয়।
এ সময় ভয়ে ওই শিক্ষার্থী কী করবে বুঝে উঠতে না পেরে একপর্যায়ে বড় মসজিদ মোড় এলাকায় রিকশাটি এলে দ্রুত নেমে গিয়ে আতঙ্কিত অবস্থায় হলে চলে আসেন। হলে আসার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই শিক্ষার্থী।
এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত রিকশাচালককে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। সে যে-ই হোক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বা বাইরে। আমার শিক্ষার্থী যৌন হেনস্তার শিকার হবে আর আমরা বসে থাকবো, প্রশ্নই আসে না। অভিযোগ এলে আমরা সর্বোচ্চ যতটুকু ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার তা করবো।’

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *