সংবাদ শিরোনাম:

মাগুরায় ভরাট হয়ে গেছে ৮ নদ-নদী

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

মাগুরা প্রতিনিধি:

নবগঙ্গা, কুমার, ফটকি, চিত্র, গড়াই, মধুমতি, হানু, বেগবতি নদ-নদীগুলোতে বছরের পর বছর ধরে জমা পলি অপসারণ না করায় সেগুলো এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এতে পরিবেশের চরম বিপর্যয় ঘটছে।
সেইসঙ্গে জীববৈচিত্র্য পড়েছে চরম হুমকিতে।
জেলার আটটি নদ-নদী এখন প্রায় পানিশূন্য। এসব নদ-নদী বুকে জেগে উঠা চরে এখন কৃষকরা ধান, পাট, গম, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নদী পাড়ের জেলা মাগুরার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট বড় আটটি নদ-নদী। ৩০ বছর আগেও এসব নদীর বুকে চলাচল করতো মালবোঝাই বড় বড় পালতোলা নৌকা। পানি প্রবাহ না থাকা নদীর তলদেশে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদীগুলো তার নব্যতা হারিয়েছে। সমতল থেকে এসব নদীর গভীরতা এখন স্থানভেদে মাত্র ৩ থেকে ৫ ফুট। সরকারিভাবে নদী খনন করলেও সেটি তেমন কাজে আসেনি।
ফটকি নদী ও চিত্র ঝিনাইদহ জেলা কালিগঞ্জ থেকে উৎপত্তি হয়ে মাগুরা শালিখা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পলির কারণে নদীর উজান প্রায় ১৮ কিলোমিটার ভরাট হয়েছে। অন্যান্যস্থানে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় ধারণ ক্ষমতার বেশি হ্রাস পেয়েছে।
গড়াই নদী দিন দিন নদী প্রবাহ কমে যাওয়ায় পলি জমে ক্রমান্বয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে বেশ কিছু স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়।
এছাড়া মধুমতি নদীর বিভিন্নস্থানে চর জেগে উঠেছে। শুধু গাড়াই-মধুমতি নয়, হান নদীর পানিপ্রবাহ না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে তাতে পানি থাকে না। কুমার নদীও পলি পড়ে দিন দিন ভরাট হয়েছে।
৬৪ জেলায় ছোট বড় নদী-খাল এবং জলাশয়ে খনন প্রকল্প যদি অবাহত রাখা যায় তাহলে এই হারিয়ে যাওয়া নদ-নদী গুলো ফিরে পাবে তার আপন প্রাণ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সোরাওয়ার জাহান সুজন বলেন, মাগুরা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদীগুলো অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে এসব নদ-নদী, খাল, জলাশয় পূণঃখনন প্রকল্প আওতায় নিতে প্রস্তাব দিয়েছি। যদি প্রকল্পগুলো পাশ হয় তাহলে এই নদীগুলো খনন করা হবে।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *