সংবাদ শিরোনাম:

পেঁয়াজ চুরির অপবাদ দিয়ে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরে পেঁয়াজ চুরির অপবাদ দিয়ে এক ব্যক্তিকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে রশি ও শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আবদুর রহিমসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের এ অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার (১৮ মে) সকালে বশিকপুরের পোদ্দার বাজারে ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগীর নাম আবদুল ওহাব (৪৮)। তিনি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার দশঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা।
বশিকপুরের পোদ্দার বাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান জানান, বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে এক ব্যক্তিকে বাঁধার ঘটনায় ইউপি সদস্য আবদুর রহিমসহ ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা চন্দ্রগঞ্জ থানায় রয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানায়, ইউপি সদস্য আবদুর রহিমের ভাই পোদ্দার বাজারের আবুল কালামের মুদি দোকান থেকে শুক্রবার (১৭ মে) এক বস্তা পেঁয়াজ চুরি হয়। পরদিন শনিবার (১৮ মে) সকালে আবদুল ওহাব পোদ্দার বাজারে এলে ব্যবসায়ী আবুল কালাম পেঁয়াজ চুরির অভিযোগ এনে তাকে আটক করেন। এরপর কালাম তার ভাই রহিমকে খবর দেন। পরে রহিমসহ ১০-১৫ লোক এসে সড়কের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে হাত ও শেকল দিয়ে পা বাঁধে ওহাবের। পায়ে জড়ানো শিকলে তালা লাগানো হয়। এসময় তাকে মারধর করা হয়।
একপর্যায়ে ওহাবের স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে। আহত ওহাবকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাকে বেঁধে রাখার কয়েকটি ছবি ও ভিডিওচিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বিকেলে ঘটনাটি জানাজানি হলে ইউপি সদস্য আবদুর রহিম ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা হারুনুর রশিদকে আটক করা হয়। ঘটনার বিষয়ে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছেন।
ভুক্তভোগী আবদুল ওহাব সাংবাদিকদের বলেন, পার্শ্ববর্তী পোদ্দার বাজারে ঘুরতে গেলে আবুল কালাম পেঁয়াজ চুরির অপবাদ দিয়ে আটকে আমাকে মারধর করেন। পরে তার ভাই রহিম মেম্বারসহ বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে আমাকে বেঁধে নির্যাতন চালায়। আমাকে কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। বাজারের ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্য বিষয়টি আমাকে জানায়নি। তবে কেউ আইন হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *