সংবাদ শিরোনাম:

নিম্নচাপ পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে, এগোচ্ছে উপকূলের দিকে

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ পরিণত হবে। ঝড়ের গতিপথ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের উপকূল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এখন এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা গতকাল ছিল ৪০ কিলোমিটার। এই হিসাবে গতিবেগও বাড়ছে। সাগর উত্তাল থাকায় আগের মতোই বন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ শনিবার (২৫ মে) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে, যা গতকাল ছিল ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে। একইভাবে আজ আছে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ছিল ৬৮০ কিলোমিটার দূরে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ছিল ৭১০ কিলোমিটার দূরে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল এবং শুক্রবার ছিল ৬৭০ কিলোমিটার দূরে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, শনিবারের মধ্যে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হতে পারে। এরপর রবিবার রাতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝখান দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। উপকূলে আঘাত হানার সময় এটির কেন্দ্রের গতিবেগ উঠতে পারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগের বা সামনের অংশের প্রভাব রবিবার সকাল থেকেই পাওয়া যেতে পারে। শনিবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার থেকে বৃষ্টি আরও বাড়বে। উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *