সংবাদ শিরোনাম:

জিপিএ-৫ পাওয়ার চেয়েও কঠিন ‘নামি’ কলেজে ভর্তি!

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

নিজস্ব প্রতিনিধি:

এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন শারমিন আক্তার লিমা। মেয়ে ভালো ফল করায় খুশিতে আত্মহারা বাবা-মা। দুশ্চিন্তা এখন সন্তানকে ভালো কলেজে ভর্তি করানো নিয়ে। কখন, কীভাবে আবেদন করলে মেয়ে কাঙ্ক্ষিত কলেজ পাবে, তা নিয়েই সারাক্ষণ উদ্বিগ্ন তারা।
শারমিনের মা রোমানা ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘মেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছে। এখন চিন্তা আরও বেশি। ওর ইচ্ছা হলিক্রসে পড়বে। ওখানে তো পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হবে। হলিক্রসে না হলে ভিকারুননিসায় ভর্তি করাতে চাই। খোঁজ-খবর নিয়ে যা শুনছি, রেজাল্ট যতই ‘এ+’ আসুক, ভালো কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া অনেক কঠিন।’
মেয়ের ভর্তি নিয়ে রোমানা ইসলামের মতো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় অসংখ্য অভিভাবক। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সব কার্যক্রম অনলাইনে। তবুও অনেকে পছন্দের কলেজে ছোটাছুটি করছেন। কারণ কত নম্বর থাকলে পছন্দের কলেজে ভর্তির সম্ভাবনা রয়েছে, তা জানতে সশরীরে কলেজে যাচ্ছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে কয়েক বছর ধরেই শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের এমন উৎকণ্ঠায় প্রশ্ন উঠেছে—এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার চেয়েও কি কঠিন ‘নামি’ কলেজে ভর্তি হওয়া?
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড, প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষকরা বলছেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর চেয়ে কলেজে আসন সংখ্যা বেশি। তবে সব প্রতিষ্ঠান মানসম্পন্ন নয়। হাতে গোনা কিছু কলেজ সবার পছন্দের শীর্ষে। সবাই পছন্দের কলেজে ভর্তির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। এতে শেষ পর্যন্ত কলেজ পেতেও বেগ পেতে হয় তাদের। জিপিএ-৫ পেয়েও অনেকে কাঙ্ক্ষিত কলেজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। পরে অনেকে অন্য কলেজ কিংবা পলিটেকনিকেও ভর্তি হতে বাধ্য হন।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি বোর্ডে মোট পাস করেছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন শিক্ষার্থী। অথচ দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজ, মাদরাসা, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট আসন প্রায় ৩৪ লাখ। সেই হিসাবে সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও ফাঁকা থাকবে অর্ধেকের বেশি আসন।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঁঞা জাগো নিউজকে জানান, সারাদেশে ৯ হাজার ২০০টির মতো কলেজ ও মাদরাসায় একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। মোট আসন সংখ্যা ২২ লাখেরও কিছু বেশি।
তিনি বলেন, ‘এটা তো গেলো কলেজ-মাদরাসার হিসাব। সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিকে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। সেখানেও তো প্রায় আড়াই লাখ আসন রয়েছে। ভোকেশনাল যেটাকে আমরা বলি, সেখানেও এইচএসসিতে (ভোকেশনাল) পড়ার সুযোগ রয়েছে ৯ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর। সবমিলিয়ে প্রায় ৩৪ লাখ আসন রয়েছে।’
গত তিন বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঘোষিত তিন ধাপে ভর্তি শেষ করতে চাইলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক সময় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরাও তিন ধাপে ভর্তির আবেদন শেষে কোনো কলেজ বরাদ্দ পান না।
কারণ হিসেবে ভর্তি কার্যক্রমে যুক্ত শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, আবেদনের সময় শিক্ষার্থীরা ১০টি কলেজ পছন্দক্রম দেওয়ার সুযোগ পায়। তারা বারবার পছন্দের কলেজগুলো পছন্দের তালিকায় রাখে। ওই কলেজগুলোতে তাদের নম্বর অনুযায়ী আসন মেলে না। এতে একেবারে শেষ ধাপ পর্যন্ত কিছু শিক্ষার্থী ভালো ফল করেও কলেজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়।
আমরা সব শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাতে চাই। শিক্ষার্থীরা পছন্দের কলেজ না পেয়ে বারবার একই কলেজ পছন্দের তালিকায় রাখে। এতে তারা নির্ধারিত তিন ধাপে কলেজ বঞ্চিত হয়। তবে অনেক সময় বিশেষ ধাপে আমরা তাদের ভর্তি করিয়ে নিই।- ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা সব শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাতে চাই। শিক্ষার্থীরা পছন্দের কলেজ না পেয়ে বারবার একই কলেজ পছন্দের তালিকায় রাখে। এতে তারা নির্ধারিত তিন ধাপে কলেজ বঞ্চিত হয়। তবে অনেক সময় বিশেষ ধাপে আমরা তাদের ভর্তি করিয়ে নিই। কাউকে বঞ্চিত করি না।’
এসএসসি পরীক্ষায় এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। অধিকাংশের লক্ষ্য দেশসেরা কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়া। গ্রামের স্কুল থেকে এসএসসিতে অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েও অনেকে বাড়তি প্রত্যাশা নিয়ে ঢাকায় ছুটে আসে। এতে রাজধানীর ‘নামি’ কলেজ হিসেবে পরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে তীব্র লড়াই চলে। শেষ পর্যন্ত জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থীও পছন্দের কলেজ না পেয়ে হতাশ হন।
গত বছর তিন ধাপে ভর্তির আবেদন করেও কলেজ পাননি সাড়ে ১২ হাজার শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ছিলেন ৬৬২ জন। তাদেরই একজন পটুয়াখালীর সায়েম আহমেদ। এবার এসএসসির ফল প্রকাশের পর সায়েম একটি ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘সবাই সাবধান! জিপিএ-৫ পাওয়ার চেয়েও কিন্তু কলেজে চান্স পাওয়া কষ্ট। একটু ভুল করলেই বড় খেসারত দিতে হবে। গত বছর আমাকে ভুলের খেরাসত দিতে হয়েছিল। সবাই চেষ্টা করবা, প্রথম দুই ধাপেই যেন কলেজ পেয়ে যাও।’
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইকবাল। ফেসবুকে তিনি স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, তার ছেলে এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ঢাকার কোন কলেজে ভর্তি করলে ভালো হবে, তা শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন। তার পোস্টে বিভিন্নজন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছেন।
মোহাম্মদ ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ছেলেটা খোকসায় একটা বেসরকারি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। সায়েন্সের ছাত্র। একটা বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে এ+ পেয়েছে। একটুর জন্য গোল্ডেন এ+ হয়নি। আমি চাই, ও ঢাকার ভালো কলেজে পড়ুক। যত কষ্টই হোক ছেলেকে ভালো কলেজে ভর্তি করাবো।’
কুষ্টিয়ায়ও তো ভালো কলেজ রয়েছে, তাহলে ঢাকায় কেন—এমন প্রশ্নে ইকবালের সাফ জবাব, ‘ঢাকা হলো রাজধানী। ওখানকার কলেজ কুষ্টিয়ার চেয়ে ভালো হবে। বাড়িতে থাকলে ছেলে গ্রামের বাজে পরিবেশে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ঢাকায় রেখে পড়াবো সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমম্বয় কমিটির সদস্যদের তথ্যমতে, সারাদেশে ১১ হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ থাকলেও সবার আগ্রহের কেন্দ্রে হাতে গোনা কিছু কলেজ। এর মধ্যে ঢাকার কলেজগুলোতে আগ্রহ বেশি। ঢাকার ভালো কলেজ বলে পরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বসাকুল্যে ৩২ থেকে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। আর ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ‘নামি কলেজে’ সবমিলিয়ে আসন ১ লাখ ২০ হাজারের মতো। ফলে ভালো কলেজ বলে পরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলোতেই ভর্তির জন্য তীব্র প্রতিযোগিতা হবে।
ছাত্রীদের পছন্দের কলেজগুলোর মধ্যে অন্যতম ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ কলেজে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী একাদশে ভর্তির সুযোগ পান। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের আসন সীমিত। যারা আমাদের স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছে, তাদের আমরা ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেই। এরপর বাইরের শিক্ষার্থী নেই। দেখা যায়, আবেদনকারী সবাই জিপিএ-৫ পাওয়া। তখন নম্বরের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থী নেওয়া হয়। এটা কেন্দ্রীয়ভাবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কমিটি করে।’
শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা আরেকটি কলেজ হলো—রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ। এখানে একাদশ শ্রেণিতে আসন প্রায় ১ হাজার ১০০টি। কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম বাহাউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘যারা আবেদন করেন, সবাই মেধাবী। আমাদের আসন সীমিত। সেজন্য সবাইকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। আমি মনে করি, সব কলেজে শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে পারলে এ প্রতিযোগিতা কমে যাবে।’
অনুমোদিত কলেজের সংখ্যা ৯ হাজারের বেশি। অথচ ভালো বিবেচিত হওয়া কলেজের সংখ্যা সারাদেশে মাত্র ৮০০-৯০০টি। বাকি আট হাজারের বেশি কলেজ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে পছন্দের বা ‘ভালো কলেজ’ বলে বিবেচিত হচ্ছে না। শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক কলেজ তদবির করে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েছে। অথচ সেখানে শিক্ষক নেই, পড়ালেখার ভালো পরিবেশ নেই। এ কারণে সেসব কলেজে শিক্ষার্থীরা পড়ার আগ্রহ দেখান না।
কলেজগুলোর সংকট নিরসনে শিক্ষা প্রশাসনের নজর কতটুকু? জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত কলেজগুলোর খোঁজ-খবর নেওয়া হয়। পড়াশোনার মান ভালো না থাকায় অনেক স্কুল-কলেজের এমপিও বাতিলের নজিরও আছে। যেসব কলেজ এখন পিছিয়ে, সেগুলোতে শিক্ষার মান ভালো করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমম্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘বোর্ডের পক্ষ থেকে নিয়মিত ইনস্পেকশন (পরিদর্শন) হয়। আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার মান নিম্নমুখী হলে এবং শিক্ষক সংকট থাকলে তা প্রতিবেদন আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাই। বোর্ডের এখতিয়ারের মধ্যে যেটুকু আছে, সেটাও আমরা করি।’
প্রতি বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারও নীতিমালার খসড়া করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে বৈঠক করে তা চূড়ান্ত করা হবে। খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী—এবারও একাদশ শ্রেণিতে তিন ধাপে ভর্তি আবেদন নেওয়া হবে। আগামী ২৯ মে থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলবে ১১ জুন পর্যন্ত। পাশাপাশি গত বছরের মতো এবারও সর্বোচ্চ ভর্তি ফি সাড়ে ৮ হাজার টাকাই থাকছে।
অন্যদিকে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব শূন্য আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এবং দুই শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে কোটার আসন ফাঁকা থাকলে তাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।
একাদশ শ্রেণিতে ২০১৫ সাল থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি করানো হচ্ছে। তবে খ্রিস্টান মিশনারি পরিচালিত কলেজগুলো বিশেষ সুবিধা পাওয়ায় তারা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করে আসছে। কলেজগুলো হলো—নটর ডেম, হলিক্রস কলেজ, সেন্ট জোসেফ ও সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
নটর ডেম কলেজের অধ্যক্ষ হেমন্ত পিউস রোজারিও জাগো নিউজকে বলেন, আমরা ভর্তি পরীক্ষা নেই। লিখিত ও একই দিনে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে মেধা যাচাই করা হয়। ফলাফলে যারা ভালো করে তাদের আমরা ভর্তি করি। আদালতের অনুমতি নিয়েই আমরা এ প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। এবারও একই পদ্ধতিতে ভর্তি করানো হবে।’

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *