শাহাজাদী সুলতানা:
শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) ও কমিউনিটি গ্রুপ প্রতিনিধিদের নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর সহযোগিতায়, জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃক বাস্তবায়নে, ৩ জুন সোমবার সকাল ১১ টার সময় জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে, এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান কর্মসূচির প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এর বিভাগীয় প্রোগ্রাম অফিসার ডা. মো. আহসান-উজ-জামান, সার্ভেইল্যান্স মেডিকেল অফিসার ডা. নুসরাত ইসলাম, প্রোগ্রাম এন্ড লজিস্টিক অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিরোজা পারভীন, ফিল্ড মনিটরিং অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. সোহাগ হোসেন, জাজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, জাজিরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ফারুক হোসেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম, স্কুল-কলেজের শিক্ষক সহ উপজেলার ২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সকল সিএইচসিপি ও কমিউনিটি গ্রুপের সভাপতিরা ।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এনসিডি কর্ণারের কার্যক্রম তুলে ধরা, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বিনামূল্যে এনসিডি কর্নার থেকে ঔষধ সরবরাহ এবং সকল প্রাপ্ত বয়সীদের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে রক্তচাপ পরিমাপ বিষয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) ও কমিউনিটি গ্রুপ প্রতিনিধিদের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের কারণে সারা দেশের মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই বাড়ছে। বাংলাদেশের শতকরা ৭০ ভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিক সহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ। এর মাঝে হৃদরোগ ও স্টোক সহ সিভিডি জনিত মৃত্যুর হার শতকরা ৩৪ ভাগ। সরকার এই পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য উপজেলা হাসপাতালে এনসিডি কর্নার চালু করেছে যেখানে রেজিস্ট্রেশনকৃত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান ও ফলোআপ করা হয়। বর্তমানে জাজিরাতে ৪০৫ জন উচ্চ রক্তচাপ, ৭৭৬ জন ডায়াবেটিস এবং ৫৭০ জন উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস উভয় রোগে আক্রান্ত। এসব রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ দেয়া হচ্ছে। আগামীতে সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উক্ত রোগ সমুহের সেবা প্রদানের পরিকল্পনা আছে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।