সাহাজাদী সুলতানা:
শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভার ০২ নং ওয়ার্ড উত্তর বাইকশা গ্রামের জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে ।
শনিবার ০৬ এপ্রিল সকাল থেকেই এই সংঘর্ষ চলতে থাকে পরে দুপুর দুই টার দিকে দফায় দফায় লিপ্ত হয়।
সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র ও অত্যাধুনিক নানা ধরনের অস্ত্রের মহড়া চলে। যা অনেকেই প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। এই অত্যাধুনিক অস্ত্রের উৎস কি?এই আধুনিক অস্ত্রের যোগান দেয় কারা?এর পিছনে কি কোন গোপন অপশক্তি কাজ করছে?
স্থানীয় প্রভাবশালী সরদার ও ফকির গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব পুরাতন যা আজকে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে রূপ ধারণ করে।এই ঘটনায় অনেকে অত্যাধিক গুরুতর আহত হয়েছে।
জাজিরার স্থানীয় বাসিন্দা শাহ পরাণ বলেন,আজকের এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা আমাদের জন্য লজ্জাজনক যা কাম্য ছিল না।
পুলিশ ০৬টি ককটেল বোমা এবং ০৩ টি ককটেল বোমা যেগুলো ফোঁটানো হয়েছে ও কয়েকটি টেডা(মাছ মারার দেশি অস্ত্র ) উদ্ধার করেন।
দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঘরের সামনের বেড়া টুকরো টুকরো করে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা। ককটেল বোমা বিস্ফোরণের আঘাতে কয়েকটি বসতবাড়ির টিনের বেড়া খুলে যায় এবং গবাদিপশুর ঘর কুপানো হয়।
বাড়িঘরে হামলা চালানোর সময় বিল্ডিং ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো ৬/৭ মাস বয়সের একটি দুধের শিশু। শিশুটি বোমার আওয়াজে চিৎকার করে উঠে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল।যা এই জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে আরও অধিক তিক্ততার রুপ লাভ করে।
এমন অবস্থায় ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এবং ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ লাঠি চার্জ করে। সেখানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জাজিরা পৌরসভার মেয়র উপস্থিত ছিলেন।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন,খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, এই অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অচিরেই আইনের আওতায় আনা হবে।