নিজস্ব প্রতিনিধি:
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমে যাওয়ায় দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলই ফের বৃষ্টিহীন। দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ জেলার ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ। তবে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
আগামী দুদিন এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর সারাদেশে বৃষ্টির প্রবণতা ফের বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে হবিগঞ্জে। রংপুর, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। তবে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগ ছিল প্রায় বৃষ্টিহীন।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার আবহাওয়া একই রকম থাকলেও বুধবার সারাদেশের বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
বুধবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ওইদিন সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
অন্যদিকে, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।