সংবাদ শিরোনাম:

এভারেস্টে আরোহীর সংখ্যা কমানোর নির্দেশ নেপাল ‍সুপ্রিম কোর্টের

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সরকারকে এভারেস্ট ও অন্যান্য শৃঙ্গ আরোহণে অনুমতির সংখ্যা সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছেন নেপালের সুপ্রিম কোর্ট। এপ্রিলের শেষদিকে এই রায় জারি করা হলেও এটির সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছে এই সপ্তাহে। শুক্রবার (১১ মে) দেশটির একজন আইনজীবী দীপক বিক্রম মিশ্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, পাহাড়ের ‘ধারণক্ষমতা’কে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ও প্রতি বছর সর্বোচ্চ কতজনকে আরোহণের অনুমতি দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত।
বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের মধ্যে ৮টিই রয়েছে হিমালয়ের দেশ নেপালে। নেপাল সরকার প্রতি বছরের বসন্তে বিশ্বের শত শত অভিযাত্রীকে এসব শৃঙ্গ আরোহণের জন্য স্বাগত জানায়। বছরের এই সময়টাতে হিমালয়ের তাপমাত্রা তুলনামূলক উষ্ণ ও বাতাস শান্ত থাকে।
জানা গেছে, পর্বতারোহীর সংখ্যা কমানোর জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী দীপক বিক্রম মিশ্র। তিনি এএফপিকে বলেছেন, হিমালয়কে দীপক খুব বেশি চাপ দিচ্ছি ও এটিকে কিছুটা অবকাশ দেওয়া দরকার। আদালত নেপালের পাহাড় ও পরিবেশ সম্পর্কে জনসাধারণের উদ্বেগের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আদালত পর্বতারোহীদের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি পর্বতাঞ্চলের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্যও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
দীপক মিশ্র আরও বলেন, আদালত জরুরি উদ্ধার অভিযানে হেলিকপ্টার ব্যবহারের উপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হেলিকপ্টারগুলো পর্বতারোহীর দলগুলোকে বেস ক্যাম্পে ও বিপজ্জনক জায়গায় আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
নেপাল বর্তমানে যেসব আরোহী ১১ হাজার মার্কিন ডলার দিতে পারেন তাদের সবাইকেই এভারেস্টে আরোহণ করার অনুমতি দেয়। গত বছর দেশটি এভারেস্টের জন্য ৪৭৮টি অনুমতি দিয়েছিল, যা রেকর্ড পরিমাণ। এ বছর এখন পর্যন্ত ৯৪৫ জন পর্বতারোহীকে অনুমতি দিয়েছে নেপাল, যার মধ্যে ৪০৩ জন অভিযানে রয়েছেন।
নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিমা নুরু শেরপা বলেছেন, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যথাযথ অধ্যয়ন ও পরামর্শের পরে আদালতের রায় কার্যকরে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। আরোহীদের সংখ্যা কমে গেলে এই খাতে কেমন প্রভাব পড়বে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। আমরা জানি না, কীসের ভিত্তিতে সীমা তৈরি করা হবে ও কীভাবে সেই সীমা আরোহীদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হবে।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *