সংবাদ শিরোনাম:

এখান থেকে অনেক দূরে কোথাও চলে যেতে চাই: শবনম ফারিয়া

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

বিনোদন ডেস্ক:

ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। এতদিন নাটক-টেলিফিল্মের কাজ নিয়েই অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকতেন। তবে এখন কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। স্বভাবে অনেকটা—ঠোঁটকাটা। যার কারণে প্রায় সময়ই আলোচনায় থাকেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সরব শবনম ফারিয়া। সমসাময়িকা নানা বিষয় নিয়েও ফেসবুকে নিজের ভাবনার কথা বলে থাকেন। এবার এই অভিনেত্রী নিজের সোশ্যাল অ্যাংজাইটি বা সোশ্যাল ফোবিয়া বা সামাজিক ভীতিরে কথা জানালেন। শবনম ফারিয়া লেখেন, “সোশ্যাল অ্যাংজাইটি’ শব্দটার সাথে আমার পরিচয় খুবই অল্প দিনের। প্রথমে শুরু হয় আমার ডিভোর্সের পর। আমার বাসা থেকে বের হলেই মনে হতো, সবাই মনে হয় আমাকে জাজ করছে। ভাগ্য ভালো ওই সময় মাস্ক চলে আসে। করোনা চলে যাওয়ার পরও মাস্ক পারমানেন্ট করে নিই।”
সামাজিক অনুষ্ঠানে না যাওয়ার কথা জানিয়ে শবনম ফারিয়া লেখেন, ‘তারপর শুরু হয় আরেকটা সমস্যা, যেহেতু আমি নিজ থেকেই অ্যাকটিভলি মিডিয়া থেকে কাজ না করার সিদ্ধান্তে আসি; তখন থেকে মিডিয়া সম্পর্কিত কোনো দাওয়াত/ গেট টুগেদারে যেতে খুবই অস্বস্তি লাগে, তার উপরে অদ্ভুত শিরোনামের সংবাদের অত্যাচার তো আছেই। ধীরে ধীরে আমি সব ধরনের সামাজিকতা থেকে দূরে সরে আসি!’
একটা সময়ে গিয়ে কাছের বন্ধুরাও ফারিয়ার কাছে অচেনা লাগতে থাকে। তা জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘এতসবের পরও চেষ্টা করেছি, যারা আগে ক্লোজ ছিল তাদের সাথে মিশতে। কিন্তু তাদেরকে কেন জানি খুবই অচেনা মনে হয়। অনেক চেষ্টা করে ডিসিশন নিই, ড্রেস রেডি করি ওই অনুষ্ঠানে যাব বলে। কিন্তু অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে মনে হয়, কি দরকার? কাকে দেখব? আমাকে কে দেখবে? কেন দেখবে? কেন হাসি দিয়ে কথা বলতে হবে? কি পরব, কি করব— সব নিয়ে জাজ করবে। তারচেয়ে বাসায় বসে একটা বই পড়া কিংবা একটা সিনেমা দেখা ভালো।’
শবনম ফারিয়ার বন্ধু তালিকা সংক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছে। হাতেগোনা কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। এ বিষয়ে শবনম ফারিয়া লেখেন, ‘আমার হাতেগোনা ৮টা ফ্রেন্ড। আমার ফ্যামিলি আর এই ৮ জনের বাইরে কারো সাথে আমার কথা বলতেও ভালো লাগে না, দেখা তো দূরের কথা। পরে জানতে পারলাম এটার নাম সোশ্যাল অ্যাংজাইটি। এটার চিকিৎসা কী আমার জানা নাই। শুধু জানি, এখান থেকে অনেক দূরে কোথাও চলে যেতে চাই।’

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *