সংবাদ শিরোনাম:

একশ লিচুর দাম ১২০০ টাকা!

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

নিজস্ব প্রতিনিধি:

নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর বাজারে লিচুর আকাশছোঁয়া দাম। ফলে ক্রেতারা ধারের কাছে ভিড়তে পাচ্ছেন না।
মাঝামাঝি সময়ে এই সময়ে মৌসুমী ফল লিচু কিনতে পারছেন না অনেকেই। এছাড়া মৌসুমি ফল জাম বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে।
শহরের মৌসুমী ফল বিক্রেতা আজহার আলী জানান, সৈয়দপুরে লিচু আসে মূলত দিনাজপুর, বীরগঞ্জ ও পাশের বদরগঞ্জ উপজেলার দিলালপুর ও জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে। কেউ কেউ বাগানও কিনেছেন লিচুর। লিচু মৌসুম এখন মাঝামাঝি সময়ে। তাই বাজারে কম মিলছে।
ফলে বোম্বাই লিচু প্রতি শ’ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায় আর চায়না-থ্রি লিচু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকায়।
বাজারে কথা হয় লিচু কিনতে আসা গৃহবধূ আয়শা খাতুন (৪৫) ও শহরের কয়ানিজপাড়ার রেজা মাহমুদের সঙ্গে। তারা জানান, বাচ্চাদের আবদারে বাজারে লিচু কিনতে এসে যে দাম দেখছি, তাতে সামান্য লিচু কিনে বাড়ি যাচ্ছি। এখন লিচুর মৌসুম, এখন এই ফল না খাওয়ালে কেমন হয়; তাই তো কিনে নিলাম সামান্য লিচু।
আড়তদার বাবুল হোসেন জানান, লিচুর মৌসুম এখন মাঝামাঝি পর্যায়ে। আর কয়েকটা দিন পর বাজারে লিচুর সরবরাহ বেশি মিলবে। এখন আড়তে লিচু আসা কমেছে। চাহিদা থাকলেও সেরকম দামে লিচু মিলছে না। আড়তে মূলত দিনাজপুর ও স্থানীয় জাতের লিচু বেশি মিলছে।
লিচুর পাশাপাশি জাম বিক্রি করতে দেখা গেলে কয়েকজন বিক্রেতাকে।
রেলঘুণ্টি এলাকায় মৌসুমী ফল বিক্রেতা রবিন হোসেন জানান, এখন আর আগের মতো জামের গাছ নেই। তাই সামান্য কিছু জাম সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য বাজারে আনছি। প্রতিকেজি ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছি।
সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাসার জানান, লিচুতে এপিকেচিন ও রুটিন নামক দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ রয়েছে, যা এই গরমে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। লিচুতে রয়েছে এসকরবিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর জাম খেলে তা হজমের সমস্যা মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে জাম খেলে তা মাড়ির রক্তক্ষরণ এবং মাড়ির প্রদাহের চিকিৎসায় সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রক্তের জন্য ভালো ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্য ভালো ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *