আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক আগ্রাসন আরও তীব্র হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর গাজার জাবালিয়া এবং দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ভয়াবহ হামলা চলছে। হামাস এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উভয়ই শত্রু পক্ষের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে। খবর আল জাজিরার।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৮২ জন নিহত হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে এটাই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা অব্যাহত রেখেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নতুন করে হামলা চালানোয় সাড়ে চার লাখের বেশি ফিলিস্তিনি এখন রাফা শহর থেকে পালিয়ে গেছে এবং আরও এক লাখ মানুষ উত্তরাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে। এই সংঘাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং অন্যান্য দাতব্য সংস্থার কর্মীরাও। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৯০ জনের বেশি কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সংস্থাটির এক কর্মী নিহত হয়েছেন এবং আরও বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। তারা একটি হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন।
ওই কর্মীরা জাতিসংঘের একটি গাড়িতে করে রাফার কাছে অবস্থিত ইউরোপীয়ান হসপিটালের দিকে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হন। এই হামলার পেছনে কারা দায়ী সে বিষয়ে জাতিসংঘ স্পষ্টভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে জাতিসংঘের ওই গাড়িটি একটি সংঘাত চলমান অঞ্চল দিয়ে যাচ্ছিল। তারা তাদের রুট সম্পর্কে সচেতন ছিল না।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৯ হাজার ৬১ জন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গাজায় বেসামরিকদের, বিশেষ করে শিশুদের নির্বিচারে হত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক কর্মকর্তা।