নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঢাকাসহ বেশ কিছু অঞ্চলের তাপমাত্রা ১ অথবা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমলেও বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছেই। দ্বিতীয় দফার হিট অ্যালার্ট চলছে রাজধানী থেকে বিভাগীয় শহরে। দেশের কোথাও দেখা নেই বৃষ্টির। ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। তবে এর মধ্যে সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
এদিকে দেশের ২৫ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। এটি আরও বেশ কিছু এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি, ২৩ এপ্রিল ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি, যা ২২ এপ্রিল ছিল ৩৭ দশমিক ৪, আর ২১ এপ্রিল ছিল এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে হিসাবে তাপমাত্রা আজ কিছুটা কম। কিন্তু গত কয়েক দিনে গরমের অনুভূতি একই আছে।
কেন এমন অনুভব হচ্ছে, জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, একদিকে সূর্যকিরণের সময় বেড়েছে। প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা আমরা সূর্যকিরণ পাচ্ছি। বায়ুপ্রবাহ কম। এ জন্য প্রায় সারা দেশেই তাপপ্রবাহ বিদ্যমান আছে। এর মধ্যে আবার বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে তাপমাত্রা অল্প কমলেও গরমের অনুভূতি একই রকম আছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বাগেরহাটের মোংলায় ৪১ দশমিক ৬। গতকাল ঈশ্বরদীতে ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে ঢাকা ও ঈশ্বরদী ছাড়া বাকি যেসব অঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ হচ্ছে সেগুলো হলো—রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৩; ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ২; চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ৪১ দশমিক ২; কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৮; দিনাজপুরে ৪০ দশমিক ৫; ফরিদপুরে ৪০ দশমিক ৪; খুলনায় ৪০ দশমিক ২; সৈয়দপুর ও গোপালগঞ্জ ৪০; সাতক্ষীরা ও টাঙ্গাইলে ৩৯ দশমিক ৮; পটুয়াখালীতে ৩৯ দশমিক ৫; তেঁতুলিয়ায় ৩৮ দশমিক ৮; খেপুপাড়ায় ৩৮ দশমিক ৬; রাঙামাটি ও বগুড়ায় ৩৮ দশমিক ৫; তাড়াশ ও মাদারীপুরে ৩৮ দশমিক ২; বরিশালে ৩৮ দশমিক ১; বান্দরবান, রাজারহাট ও ডিমলায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবানসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।