সংবাদ শিরোনাম:

হাসপাতালে ওষুধ পাওয়া না গেলেও খোলাবাজারে পাওয়া যাচ্ছে সরকারি ওষুধ

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

আইনুল নাঈম, নকলা:

বন্যার পানি আস্তে আস্তে নামতে শুরু করায় জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসলেও আ-স্বস্তির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে নানা ধরনের পানি বাহিত রোগের, ডায়েরিয়া এঁদের মধ্যে অন্যতম। যার আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছেনা শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত।
শেরপুর জেলায় ৫ টি উপজেলা প্রায় সম্পূর্ণ রুপে ক্ষতিগ্রস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি, মৎস্য, রবিশস্য, ঘর-বাড়ি ইত্যাদি। স্বাস্থ্য খাত ভেঙে পড়েছে বাঁধ ভাঙ্গা স্রোতের মত।


শেরপুর জেলার প্রত্যাকটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হিমসিম খাচ্ছে পানি বাহিত রোগীদের স্বাস্হ্য সেবা প্রদানে। এরি মাঝে আবার একটা কুচক্রী মহল সেবা প্রত্যাশি অসহায় রোগীদের উপর চালাচ্ছে স্টিমরোলার, যাকে বলে মরার উপর খাড়ার গাঁ। হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছেনা কোন প্রকার ঔষধ সহযোগিতা। সকল ঔষধ কিনে নিতে হচ্ছে বাইরে থেকে,এমনকি একটা প্যারাসিটামলও যদি লাগে তাও। কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে বলে ছাপলাই নেই, অথচ সরকারীভাবে হাসপাতালের ঔষধ না থাকলেও বিক্রি হচ্ছে হাসপাতালের সরকারি ওষুধ আশেপাশে থাকা দোকানগুলোতে।
১৪ অক্টোবর শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের একটি টিম অনুসন্ধান চালিয়ে কিছু ভিডিও চিত্র ক্যামেরা বন্ধি করে । ১৪ তারিখ দলটি আনুমানিক ১টা ২০ মিনিটের দিকে নকলা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে রোগীদের সেবার মান সম্পর্কে খুঁজ খবর নিতে গিয়ে রীতি মত আঁতকে উঠে। ভূক্ত ভোগী একজন সাংবাদিকদের বলেন ১৪ তারিখ সকালে আমি ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গুরুত্বর অবস্থায় ভর্তি হয়েছি, ভর্তি হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে কোন প্রকার ঔষধ সহযোগিতা দেওয়া হয়নি, দুটি “আই বি” স্যালাইন এ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে, তাও আবার বাইরে থেকে কিনে নিয়ে। স্যালাইন দুটি রোগীর হেঙ্গারে ঝুলানো ছিল। স্যালাইন দুটি সরকারী এবং স্যালাইনের গায়ে লিখা রয়েছে (গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পাদ,ক্রয় বিক্রয় দন্ডনিয় অপরাধ) , তার পরও হাসপাতালের সামনের দোকান গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে সরকারী নানা ধরনে ঔষধ অহরহ কিন্তুু কর্তৃপক্ষ নিরব।
শেরপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ জসিম উদ্দিনের কাছে দৈনিক দেশ বার্তার প্রতিনিধি এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সরকারি ঔষধ বিক্রি গুরুতর অপরাধ, যারা এর সাথে জড়িত কিম্বা যারা বিক্রি করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
শেরপুর ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক গৌরী রানী বসাক বলেন, সরকারী ঔষধ ফার্মেসিতে বিক্রি দন্ডনিয় অপরাধ। আমি শেরপুর জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন মিলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করব, ঐই অপরাধের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নকলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান বলেন, আমাদের হাসপাতালের মেডিসিন বাইরে চলে গেছে এ কথা এখনি বলা যাবেনা, সরকারি ঔষধ বাইরে বিক্রির কোন সুযোগ নেই, তারপরও আমরা দেখেছি, হাসপাতালের কোন কর্মচারী – কর্মকর্তা যদি এর সাথে জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া যায়। তাহলে আমরা অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *