সংবাদ শিরোনাম:

সিমিন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নকলা উপজেলার কৃতিসন্তান বন্যা কবলিতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করলেন

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

আইনুল নাঈম, নকলা :

কয়েক দিন টানা বৃষ্টিতে শেরপুর জেলার ৪ টি উপজেলায় আকষ্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে, তাছাড়া ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুর জেলার নকলা,নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী উপজেলায় প্রায় সম্পুর্ণ রুপে প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ রুপাআমন,মাছের ঘের ও নিত্য প্রয়োজনীয় শাক সবজি। আকষ্মিকভাবে কোন প্রকার পূর্বাভাস ছাড়ায় প্লাবিত হওয়ায় মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেক বেশি। শতশত মৎস্য খামারী প্রায় নিঃস্ব ।
মৎস্য খামারী আলহাজ্ব মজিবুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানান তার প্রায় ৩০-৩৫ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বন্যায় ভেসে গেছে। আর ১৫-২০ দিনের মধ্যে মাছগুলো বিক্রি করতাম, এখন কি করবো, কীভাবে বা ঋন পরিশোধ করবো, আমারতো সব শেষ হয়ে গেছে। এই ভাবেই সকল মৎস্য খামারীদে আহাজারি করতে দেখা য়ায়।


শত শত পরিবার না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে একমুঠো শুকনো খাবারে অপেক্ষায় তারা তাকিয়ে আছে মানবতার দিকে।
শেরপুরে জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ৪ উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। এছাড়া নকলা,নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী বন্যার পানিতে ডুবে সর্ব শেষ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।
শেরপুর জেলার জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং অনান্য সেচ্ছাসেবী সংগঠন, তাদের মানবিক ত্রান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন, যা এত বিশাল বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
ঠিক এই সময় মানবতার দ্রুত হয়ে, সিমিন গ্রুপ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিশিষ্ট শিল্পপতি জনাব মুস্তাফিজ সুমন নকলা উপজেলায় ৪ নং গৌড়দ্বার ইউনিয়নের দরিতেঘড়ি গ্রামের প্রায় ৪৫০ টি পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরন করেন। খাবার পেয়ে কিছু টা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছেন বানভাসি মানুষ গুলো খাবারের মধ্যে ছিল চিড়ামুড়ি, গুর সুপিয় পানি, ওরস্যালাইন ইত্যাদি । দড়িতেঘড়ি গ্রামের প্রায় ৬ শত পরিবার পানি বিন্দি অবস্থায় আছে। এই গ্রামের প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে রুপা আমন ও মাছের ঘেড়, এবং শীতকালিন রবী শষ্য সম্পুর্ণ রুপে ক্ষতিগ্রন্হ হয়েছে।
সিমিন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব মুস্তাফিজ সুমন বলেন নকলা বাসিদের বন্যা পরবর্তী সময়ে জীবন মান উন্নয়নে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। এমন একটা দুর্যোগ একজনকে পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।সবার সহযোগিতা পেলে হয়তো তাদের কিছুটা কষ্ট দুর করতে পারবো।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *