শাহাজাদী সুলতানা:
লিবিয়ায় আটকে নির্যাতন, জাজি রায় ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদিক সম্মেলন। ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়া নিয়ে নির্যাতনের পর মুক্তিপণ আদায়ের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। সোমবার( ২৫ নভেম্বর) বিকালে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বিকিনগর ইউনিয়নের দৈনিক বাজারের ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্ত ভোগী রফিক এর বাবা আইয়ুব আলী মোল্লা বলেন, জসিম মাদবর( ৩৭), পিতা :সাদেক মাদবর, সাং- বাচ্চু মাদবরকান্দি, ইউপি গোপালপুর, থানা -জাজিরা, জেলা :শরীয়তপুর। প্রথমে আমি আমার ছেলেকে জসিম দালালের মাধ্যমে লিবিয়াতে পাঠায় ৫ লক্ষ টাকার চুক্তিতে। লিবিয়াতে বেতন বেশি না হওয়ার কারণে আমি দালাল জসিমের কথা মোতাবেক গত অনুমান ৮ মাস পূর্ব থেকে আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমার ছেলের রফিক মিয়া (২১) কে লিবিয়া দিয়ে অবৈধভাবে ইতালিতে নেওয়ার কথা বলে। প্রথমে আমি দালাল জসিম এর এহন পস্তাবে রাজি না হলেও তাহার প্রতারণার ফাঁদে পরে আমার ছেলেকে অবৈধভাবে ইতালিতে পাঠাতে রাজি হই। আমার সাথে দালাল জসিম এর সাথে মোট ১৩ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়। জসিম আমার নিকট হতে ছেলেকে নেওয়ার উদ্দেশ্য করিয়া গত অনুমান ৫ মাস পূর্বে প্রথম ধাপে পাঁচ লক্ষ টাকা নেয়। টাকা নেওয়ার ১৫ দিন পরে আমার ছেলেকে (রফিক) লিবিয়া নেয়।দালাল জসিম আমার বসত ঘর থেকে গেম দেওয়ার কথা বলে নতুন করে পুনরায় ৮ লক্ষ টাকা নেয়। নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও আমার ইতালি নেওয়ার উদ্দেশ্যে গেম না হলে আমি দালাল জসিমকে জিজ্ঞেস করিলে দালাল জসিম আমাকে ধৈর্য ধরে আর একটি দিন দেখতে বলে। এর কিছু দিন পরেই দালাল জসিম আমাকে জানায়, আমার ছেলে ইতালির উদ্দেশ্যে গেম দিতে গিয়ে মাফিজাদের নিকট আটক হয়েছে। আমি ও আমার পরিবার ছেলের সাথে সম্ভাব্য পরিমাণ যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পারিনা। যাহার ধারাবাহিকতায় অজ্ঞাত একাধিক নাম্বার থেকে (০১৭০৭৫৯২০৭২,০১৫৪০৩৫৭৪৬১,০১৫৩৮১৩৯১৯০)আমার ও দেশের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে (০১৭৬৮৬১৭০১৭,০১৭৩৯০৬৩৬২৭,০১৭৬৮৬১৭০১৭)একাধিকবার ফোন করে আমার ছেলের জীবনের বিনিময়ে( ১৪ লক্ষ) টাকা দাবি করে। প্রথম অবস্থায় অজ্ঞাত পস্তাবে আমিও পরিবারের সদস্যরা রাজি না হলে আমার ছেলে রফিককে মারার ভিডিও আমাদের ইমোর মাধ্যমে দেখায় । আমরা তাদের দাবি করা টাকা না দিলে আমার ছেলে রফিক কে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। ছেলের প্রতি এমন অসহনীয় অত্যাচার নির্যাতন দেখে আমি আমার সকল জায়গা জমি বসতবাড়িসহ বিক্রি করে ও আত্মীয়-স্বজনের নিকট হতে ঋণ করে অজ্ঞাত জসিম (মাফিয়া)কে উল্লেখিত টাকা দিতে রাজি হই। আমিও পরিবারের সদস্যরা অজ্ঞাত জসিম মাফিয়া কথা মতে গত ১০/১১/২০২৪ইং তারিখে:৫,৫০০০০(পাঁচ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা দালাল জসিম এর নিকট টাকা দিয়ে আসি। ধারাবাহিকতায় গত ১৭/১১/২০২৪ইং তারিখে:পুনরায় অজ্ঞাত জালাল জসিম (মাফিয়া)র কথামতো বাকি ৮,৫০,০০০(আট লক্ষ ৫০ হাজার হাজার) টাকা দালাল জসিম এর নিকট হস্তান্তর করি। উক্ত টাকা দেওয়ার উপস্থিত সাক্ষী ০১/লালচান মাদবর, (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান), সাং-পূর্ব নাওডোবা,থানা-জাজিরা,জেলা:শরীয়তপুর,২/ইউসুফ শনি,সাং-ইউসুফ ব্যাপারী কান্দি। ইউপি -কাদিরপুর, থানা:শিবচর,জেলা:মাদারীপুর, জেলা শরীয়তপুর সহ আরো স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। অজ্ঞাত দালাল জসিমকে ১৮/১১/২০২৪ইং তারিখে সকাল অনুমান ৮:০০ঘটিকার সময়ে পুনরায় আমার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন করে আরো ৬,০০.০০০(ছয় লক্ষ) টাকা দাবি করে।অজ্ঞাত জসিম দালালের দাবি দাওয়া পূরণ করা আমার ও পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তার পরে ও মোট (২৭ লক্ষ) টাকা দেই।তাই উক্ত ঘটনার বিষয় আমার আত্মীয় স্বজনের সাথে আলোচনা করিয়া জাজিরা থানায় দালাল জসিম এর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করি। উক্ত ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি যেন প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি অতি বিলম্বে অভিযোগ সাপেক্ষে দালাল জসিম এবং অজ্ঞাত ৪/৫ জনে নিয়ে করা মামলার সুস্থ তদন্তের সাপেক্ষে ভুক্তভোগী রফিককে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করার দাবি জানাচ্ছি।