সংবাদ শিরোনাম:

বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫০, পাঁচটি মোটরসাইকেল ও কয়েকটি দোকানে ভাংচুর ও আগুন

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

মোঃ আশিকুর রহমান, ষ্টাফ রিপোর্টার:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫০/৬০জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন বাদল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মুছা হায়দার, বিএনপির কর্মী অরুণ মিয়া, ফুলমিয়া, দানু মিয়া, সাইফুল ইসলাম , কেশপদ দাসসহ ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে । এসময় কয়েকটি দোকান ঘর ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
সোমবার(১৮ই নভেম্বর) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলার সদরের প্রতাপগঞ্জ বাজারের মুসা মার্কেটের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।


খোঁজনিয়ে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ২০ নভেম্বর বুধবার বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সম্মেলন বাতিলের দাবিতে গণমিছিল ও প্রতিবাদ সভা আয়োজন করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের একটি অংশ। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলা সদরের মাতুর বাড়ির মোড় থেকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য এম এ খালেক পিএসসি, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন জিয়া ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ড. সাইদুজ্জামান কামালের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়ে প্রতাপগঞ্জ বাজারের কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান এর পলাশের অনুসারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম মুসার মালিকানাধীন মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মিছিলে কয়েকজন ডিল ছুড়ে মারে। এসময় নেতাকর্মীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় ধাওয়া পাল্টা দেওয়া শুরু হলে ইটের আঘাতে শতাধিক নেতা আঘাত পায়, ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়। আহতরা বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয, এদের মধ্যে গুরুতর ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আগামী ২০ নভেম্বর বুধবার সকাল দশটায় বাঞ্ছারামপুর সদরের সরকারি এস এম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে উপজেলা বিএনপির দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এই সম্মেলন বাতিলের দাবী জানিয়ে বিএনপি’র একটি অংশ গত ৯ নভেম্বর থেকে প্রতিবার সভা মিছিল করে আসছে।
এমএ ছালাম জানান, আমরা ঙঙঙমিছিল নিয়ে মুসা মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ছাদের উপর থেকে আমাদের উপর ইট দিয়ে ঢিলাতে থাকে এ সময় আমাদের প্রচুর নেতাকর্মে আহত হয় আমি নিজেও আহত হয়েছি। ইচ্ছে করে আমাদের মিছিলের উপর হামলা করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রঞ্জন বর্মন জানান, এখন পর্যন্ত ৫৪ জন চিকিৎসা নিয়েছে, তবে কেউ ভর্তি হয়নি। ঢাকায় গিয়েছে অনেক রোগী।
জেলা বিএনপির আহরায়ক কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য এম এ খালেক পিএসসি জানান, আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে মুসা মার্কেটের সামনে দিয়ে আসার সময় বিনা উস্কানিতে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর ইট পাটকেল ছুরে মারে। এ সময় শতাধিক নেতা আঘাত পায় ও ৫০ জনের মত নেতাকর্মী আহত হয় এদের মধ্যে কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কাউন্সিল বাতিলের দাবীতে মিছিল বের করেছিলাম।
বাঞ্ছারামপর থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান,আজ দুপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছিল বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মাঠে সেনাবাহিনীর ও পুলিশ থাকবে ার কোন সহিংসতা হবে না।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *