আইনুল নাঈম ,নকলা :
কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসাবে একদফা এক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশের ন্যায় সকল নকল নবিসদের ২৮ অক্টোবর হইতে জেলা, উপজেলা সকল সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকল নবিসদের দলিলের বালাম কপি সহ অনান্য কার্যক্রম অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। তাড়ি অংশ হিসাবে শেরপুর জেলার “বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহরার ( নকল নবিশ) এসোসিয়েশন “এর সভাপতি কামাল হোসেন,এক জরুরী নোটিশ জারী করেন।
বাংলাদেশের ৫১৬টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকল নবিশদের চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
রোববার (২৮ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নকল নবিশরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। এ নিয়ে তারা অষ্টম দিনের মতো এই কর্মসূচি পালন করছে। তাদের সাথে একত্বতা প্রকাশ করে প্রত্যেক জেলা উপজেলায় সাব রেজিস্ট্রি অফিসে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সব ধরনের কার্যক্রম, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে শেরপুর জেলা নকল নবিশ এসোসিয়েশনে সভাপতি কামাল হোসেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া নকল নবিশরা বলেন, দেশের রাজস্ব খাতে তাদের অবদান রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছেন। কোনো সরকারই তাদের দাবি পূরণ করেনি। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানান।
নকল নবিসদের কলম বিরতি বিষয়ে শেরপুর জেলা রেজিস্ট্রার অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি দেশ বার্তাকে প্রতিনিধিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলেন, কর্মী বিরতি বিষয় আমি কিছু জানিনা এবং এ ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি, প্রতিনিধির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রত্যেক উপজেলায় ৩ টি করে নকল নবিসদের রাজস্ব পোস্ট রয়েছে, এই পোস্টগুলো খালি হওয়া সাপেক্ষে তালিকা ভূক্ত নকল নবিসদের মধ্য থেকে সিনিয়রেটির মাধ্যমে পূরন করা হয়।
আপনাকে অবগত না করে নকল নবিসরা কিভাবে কর্ম বিরতি পালন করছে,প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তারা করতে পারে, কারন তারা সকলেই আমাদের তালিকা ভূক্ত নয়। জনবল সংকটের কারনে আমাদের অতিরিক্ত লোক দিয়ে অফিসের কার্যক্রম চালাতে হয়, তাছাড়া তাদের একটি এসোসিয়েশন রয়েছে।
নকলা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার” নাফিজা নাওয়ার” বলেন তাদের দাবি যৌক্তিক, তবে আমরা সরকারে থেকে কিছু বলতে পরিনা,বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
শেরপুর জেলার নকল নবিশ এসোসিয়েশনের সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, আমাদের দাবি যৌক্তিক। আমরা যৌক্তিক দাবিতেই আন্দোলন করছি। আমাদের তো রাজস্ব খাতে অবদান আছে, তাহলে কেন আমাদের চাকরি জাতীয়করণ করা হবে না। সরকার কি আমাদের কান্না দেখে না। আমরা চাই দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক।