সংবাদ শিরোনাম:

গলাচিপায় রেমিট্যান্স যোদ্ধার বাড়ি দখল ও চাদাঁ দাবির অভিযোগ

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

ফিরোজ আলম :

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের এক রেমিট্যান্স যোদ্ধার বাড়ি দখল ও চাদাঁ দাবির অভিযোগ দিয়েছেন ছোট শিবা গ্রামের রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোঃ হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী ঝিনুক বেগম।
গলাচিপা সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ সূত্র জানা যায়, এক’ই গ্রামের মৃত হাবিব আকন এর চার ছেলে, সাখাওয়াত, তুহিন, রাসেল ও আওলাত, মৃত, লাল মিয়ার ছেলে বাহাদুর, মতু প্যাদার ছেলে বশার, মোঃ গিয়াস আকন এর দুই ছেলে নুরনবী ও জিহাদ, মৃত, ছত্তর আকনের ছেলে আনিচুর রহমান এবং হাদি আকন এর ছেলে মাসুম এলাকায় চাদাঁবাজি, সন্ত্রাসী ও দাঙ্গা হাঙ্গামাকারী। পূর্বে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ২৫’সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে প্রতিদিনের মতো আমার ছোলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পরি। হঠাৎ রাত আনুমানিক( ১:১৫) সোয়া একটার দিকে, উপরে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা আমার ঘরের দরজা ধাক্কাধাক্কি করে খুলতে বলে, আমি অসহায় নারী হওয়ায় ভয়ে আতংকে থাকি, সন্ত্রাসীদের ভয়ে ঘরের জানালা খুলে দেখতে পাই সব’ই স্থানীয় সন্ত্রাসী ও দাঙ্গা হাঙ্গামাকরী আমার ঘরে সামে সিঁড়িতে এলো মেলো ভাবে বসে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল ও দুই লাখ টাকা দাবী করে অন্যথায় বাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কোন উপায় অন্ত না পেয়ে আশেপাশের আত্মীয় স্বজনদের মোবাইল ফোনে বিস্তারিত জানালে, তারা আমাকে উদ্ধার করতে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপরেও অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও দুই লাখ টাকা প্রস্তুত রাখার কথা বলে, তা না হলে বাড়ি ছেড়েঁ দিতে হবে। এসময়ে আশেপাশের জনসাধারণ আসার টের পেয়ে তাহারা চলে যায়।
অভিযোগকারী ঝিনুক সাংবাদিকদের বলেন, আমি একজন অসহায় নারী এবং একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধার পরিবার। আমার স্বামী ওমান রাষ্ট্রে অমানবিক পরিশ্রম করে আমাদের নিয়ে কোন রকম জীবন পরিচালনা করে আসছে। যা একধরণের মানবতার জীবন-যাপন। খেয়ে না খেয়ে জীবন পার করছি, আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে অর্থের অভাবে বাউফল উপজেলায় বড় বোনের কাছে থেকে ৯’ম শ্রেনীতে লেখা পড়া করছে, আর ছোট ছেলেটাকে নিয়ে নিজ এলাকায় চর-অঞ্চলে স্বামীর ক্রয়কৃত ভিটাবাড়িতে মানবেতর জীবন-যাপন করেও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে থাকতে পারছিনা। কয়েক বছর হতে আমাদের দলিল কৃত জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে । তিনি আরো বলেন, এদের বিষয়ে বহুবার বিচার শালিসী দিয়েও কোন লাভ হয়নাই। সরকারি সার্ভেয়ার কানুনগো জরিপ করে সিমানা পিলার পুতেদিলে উক্ত চাঁদাবাজরা পিলার নিয়ে যায়। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে পিলার উদ্ধার করে পুতে দেয়, এর পর থেকে উক্ত চাঁদাবাজরা আমাকে দেখে নেবার ভয়ভীতি সহ চাঁদা দাবি করে আসছে। পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যাবস্হা নেয়নি। তাই বিগত দিনের আর চলমান ঘটনার দৃষ্টান্ত আইনী বিচার সহ আমার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপরে ন্যায় বিচারের দাবীতে গলাচিপা সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এবিষয়ে গলাচিপা উপজেলার সেনা ক্যাম্পে কোমান্ডার (মেজর) মুশফিক আল মুহিদ এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানানা, চলামান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়োন্ত্রনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যৌথবাহিনী এক সাথে দেশ ব্যাপী সন্ত্রাসী দুঃস্কৃতিকারীদের দমনে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে মাঠে আছে, অভিযোগের বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া চলামান রয়েছে।

Facebook
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *