মোঃ কামরুজ্জামান :
সাপ্তাহিক ছুটিতে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে এসে প্রায় ২০/৩০ হাজার পর্যটক হোটেলবন্দী হয়ে পড়েছেন। গত দুদিনে টানা ভারী বর্ষণে শহরের হোটেল-মোটেল জোনের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে পর্যটকেরা ঘুরতে বের হতে না পেরে অধিকাংশরাই বিপাকে পড়েছেন। হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজগুলোতে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই খাবার-দাবার নিয়েও দুর্ভোগে পড়েছেন।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর গত সপ্তাহ থেকে পর্যটক আসা শুরু হয়েছিল। আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার দুদিন সাপ্তাহিক ছুটিতে অর্ধ লক্ষাধিক পর্যটক সাগরকন্যা কুয়াকাটা আসার কথা ছিল ৷
এর মধ্যে সপ্তাহ জুড়ে টানা প্রবল বর্ষণে পর্যটন জোনের রাস্তাঘাট ডুবে থাকায় এলাকার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজের কক্ষে বন্দী হয়ে পড়েছেন।
যতদূর চোখ যায় গহীন জলরাশি ছুঁই ছুঁই সুনীল আকাশ। উত্তাল বঙ্গোপসাগর ঢেউয়ের তালে দুলে চলছে পর্যটক।
সুখে গাইতে পারেন গান, ওরে..নীল দরিয়া! সাগর, সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ, সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও নির্জন প্রকৃতির সব সৌন্দর্য যেন ঠিক এক জায়গায়,সাগর কন্যা কুয়াতা।
সৌন্দর্য কারণে বঙ্গোপসাগরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকলেও সপ্তাহে শুক্র শনিবারের ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এ সৈকত বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ সৈকতের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিকেলে পর্যটকরা ভিড় করেন।
পাথরের ওপর পা মেলে দিয়ে ঢেউয়ের শব্দ শুনতে পারবেন। সাগরের বুক থেকে নোনতা হাওয়া এসে আপনার চুল এলোমেলো করে দেবে। খালি পায়ে সৈকতে হেঁটে কিছু শামুক-ঝিনুকও কুড়াতে পারবেন। ফুটবল, ভলিবলও খেলতে পারবেন। শিশুরা স্যান্ডক্যাসল বানিয়েও খেলতে পারে ৷
দক্ষিণ বঙ্গ পটুয়াখালী উপকূলে বৃষ্টি, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তর উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘলা ভারী সৃষ্টি অব্যাহত পূর্বাভাস রয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে পর্যটক সহ নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
(১৩ সেপ্টেম্বর) কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সাগর কন্যা কুয়াকাটা সৈকতে।
উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যেকোনও সময় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশ সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সমুদ্রগামী মাছ ধরা ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ইতোমধ্যে কলাপাড়া মহিপুর আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মাছ ধরা ট্রলারগুলো আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী জেলায় ১৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।