মোঃশফিকুল ইসলাম,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার সংসদীয় এলাকার ১৭ জনকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) কসবা উপজেলার তিনলাখ পীর এলাকায় আয়োজিত উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের স্বাগত বক্তব্যে এ অভিযোগ তুলেন জেলা বিএনপির সদস্য মো. কবির আহমেদ ভূঁইয়া। পরবর্তীতে একাধিক বক্তা সাবেক আইনমন্ত্রীর বিচার দাবি করেন।
কবির আহমেদ বলেন, আইনমন্ত্রীর আমলে আমাদের নেতাকর্মীদের জেল খাটিয়েছে।
জুলুম-অত্যাচার করেছে। পুরো দেশ তার কব্জায় ছিল। পুলিশ বাহিনী ও তার সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে সম্মেলন বানচাল করিয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য তিনি আমাদের এলাকার সন্তান।
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের আগুনে ফেলে পালিয়েছে। তার দোসররা এখন বিএনপিতে আসতে চায়। আমরা তাদেরকে আনব না। যে নিয়ে আসতে চাইবে তাকেও ক্ষমা করবো না।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কসবা উপজেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া প্রতিনিধি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া। প্রধান বক্তা ছিলেন- সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এম এ মান্নান, সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মোস্তাক মিয়া তার বক্তব্যে বলেন, সাবেক আইনমন্ত্রী দেশটাকে কলঙ্কিত করেছে। ওনি রায় লিখে দিতেন। আর বিচারক ওই রায় পড়তেন। কসবায় এসে ওনার লোকজনের হামলায় শিকার হয়েছি। এখন তারা যেন কোনোভাবেই আমাদের সঙ্গে ভিড়তে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রধান অতিথি সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘আইনমন্ত্রী ছিলেন বেআইনি মন্ত্রী। কারণ ওনার সরকারই ছিল অবৈধ সরকার। আর ওনি তো ছিলেন এবনরমাল লোক। তাই ওনাকে নিয়ে আমার বলার কিছু নাই।
তিনি বলেন, বেআইনি মন্ত্রী দরবেশকে (সালমান এফ রহমান) ধরিয়ে দিয়েছিলেন। দাঁড়ি-গোঁফ কাটায় দরবেশকে পুলিশ চিনতে পারে নাই। এক নৌকাতে থাকা বেআইনি মন্ত্রী তাকে দেখিয়ে দেন। কি বন্ধুত্বের নিদর্শন এটা।
তিনি বলেন, এই সরকারের রাজনৈতিক দল নাই। তাই আমরা তারেক রহমানের নির্দেশে সরকারকে সহযোগিতা করছি। এ আয়োজন থেকে বলতে চাই, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিন। কারণ পরিবেশ আছে। আওয়ামী লীগ নাই পালিয়ে গেছে। আমরা আপনাদের সহযোগিতা করছি। এ সুযোগ নিয়ে যদি মনে করেন, নরম গদিতে আরামে আছেন তাহলে গদি শক্ত হতে সময় লাগবে না। আপনারা এসি রুমে আরামে বসে কাজ করছেন আমাদের কারণে। এজন্য একেকজন উপদেষ্টা একেক কথা বলবেন সেটা কিন্তু হবে না।
এসময় তিনি আইনমন্ত্রীর কসবার বাড়িকে মিজিয়াম বানাতে আহ্বান জানান।